ফেজবুক ইউটিউব তো বটেই, অফলাইন এ যে বিজ্ঞাপন সব সময় চোখে পড়ে সেটা হচ্ছে সিপিএ মার্কেটিং! ধারনা করা হয়, এদেশের ৫০ লাখ তরুনের কাছে সিপিএ মার্কেটিং স্বপ্নের অপর নাম। একই সময়ে ১০ লাখ তরুনের কাছে সিপিএ মার্কেটিং একটি ট্র্যাপ বা দুঃস্বপ্ন। সিপিএ মার্কেটিং কেন স্বঃপ্ন এবং দুঃস্বপ্ন সেটা ব্যাখ্যা করার আগে, ২০১০-১১ এর বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিতে চাই,
সে সময় ঢাকা সহরে কিউবি-বাংলা লায়ন তাদের যাত্রা শুরু করেছেন আর গ্রাম-গঞ্জে মডেম ভিত্তিক ইন্টার্নেট বিস্তার শুরু হয়েছে। সে সময় ঢাকা শহরে বেশ কয়েকটি পিটিসি বা পে পার ক্লিক এর কোম্পানি গড়ে উঠে। যেগুলা আউটসোর্সিং কোম্পানি নামে পরিচিত ছিল।
হঠাত মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা এই সব প্রতিষ্ঠান হঠাত করেই, অনেক মানুষের টাকা মেরে গায়েব হয়ে যায়। তার পর মানুষ তাদের ভুল বুঝতে পারে। কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
সেই যে ক্লিক করে টাকা ইনকাম বা ঘড়ে বসে সহজে ইনকাম, সেই ধারনাটি ২০১৯-২০ সালে ফিরে এসেছে সিপিএ এর মাধ্যমে। সিপিএ ট্রেইনিং সেন্টার গুলো সেই ধারনাটি মোডিফাই করে নতুন আংগিকে কাজ শুরু করেছে।
ফ্রিল্যান্সিং কি? কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন?
এ কারনেরি যারা ইতিমধ্য ট্রেইনিং করে ফেলেছেন, তাদের জন্য সিপিএ মার্কেটিং একটি দুঃস্বপ্নের নাম। তারা তো এখান থেকে কোন রকম টাকা ইনকাম করতে পারে নি। উলটা সময় আর টাকা নষ্ট হয়েছে।
ট্রেইনিং সেন্টার গুলো ৩ ধাপে সিপিএ প্রতারনা শিখাবে:
প্রথম ধাপে, ফেইক একাউন্ট, ফিমেল একাউন্ট এর মাধ্যমে কিভাবে লিড জেনারেট করতে হয় সেটা দেখাবে। উলেখ্য, লিড জেনারেশন এর জন্য এই পদ্ধতি সঠিক নয়। লং টাইম এ এটা কাজে আসবে না। আর এভাবে কালেক্ট করা লিড বেশির ভাগ সময় ভ্যালিড হবে না। সেগুলা ব্যাবহার করে সিপিএ করা সম্ভব হবে না।
দ্বিতীয় ধাপে শেখানো হবে, কিভাবে অশ্লীল কনটেন্ট ব্যাবহার করে লিড জেনারেট করা হয়। এ ধরনের কনটেন্ট ব্যাবহারে বিদেশি লিড কালেক্ট করা। কিন্তু এসব কনটেন্ট ব্যাবহার করে রেগুলার লিড কালেক্ট করা সম্ভব নয়। আর এই যে ইনকাম করবেন, সেটাও কিন্তু লিগ্যাল হবে না। সেটা কিন্তু হালাল হবে না।
ত্রৃতীয় ধাপে, হুট-হাট সিপিএ মার্কেটিং এর টুক টাক কিছু মেথড দেখিয়ে দেয়া হবে। সেগুলা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অল্প আর এর মাধ্যমে সিপিএ করা সম্ভব নয়। এখানে কিন্তু আপনার পুরো ইনভেস্ট মাটি হয়ে যাচ্ছে।
এসব হচ্ছে মুল ধারার সিপিএ ট্রেইনিং। এর বাইরে আরেক রকম সিপিএ ট্রেইনিং আছে। যেগুলা হচ্ছে ক্লিক করে ইনকামের ব্যাপারে শিখাবে। এখানে রেফারেল এর সিস্টেম সামনে আসবে। আপনি যত মানুষ কে জয়েন করাবেন, তত কমিশন পাবেন। আর সিস্টেম হচ্ছে, যারা জয়েন হবে তাদের ইনিশিয়ালি পে করা লাগবে।
আমাদের বিপুল পরিমান ইউথ রা সিপিএ মার্কেটিং থেকে সফল হতে পারে নি যার মুল কারন হচ্ছে এই তিনটি। যে তিন ধাপে আপনার সময় অপচয় করানো শিখানো হয়ে থাকে আর কি।
ইমেইল টেমপ্লেট ডিজাইন করে আয় করুন ১০-২০ডলার প্রতিদিন!
সিপিএ মার্কেটিং একটি লম্বা প্রসেস এবং এখানে ভাল করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর খুব ভালো নলেজ থাকা লাগে। আর সাথে সাথে লাগে সেলফ মোটিভেশন। হুট-হাট শুরু করে সিপিএ তে সফল হওয়া সম্ভব না।
দেশের অনেক ট্রেইনিং সেন্টার আছে যারা ভালো করে শিখায়। এ সব ট্রেইনিং সেন্টার এ ভর্তি হতে পারলে আপনি ভালো শিখতে পারবেন। তবে ভর্তি হওয়ার আগে, খুব ভালো করে দেখে নিবেন। কারন বেশির ভাগ ট্রেইনিং সেন্টার এ সমস্যা অনেক। সিপিএ বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর যে কোন সমস্যা তে আমাদের কে ফেজবুক পেইজ এ নক দিতে পারেন।
আর্টিকেল টা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য। আর্টিকেল টি ফেজবুকে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে জানিয়ে দিন যাতে তারাও এমন বিপদে না পরে। সেফ থাকুন।